খান মোঃ কামরুল|যশোর প্রতিনিধি
বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন যশোরের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন যশোর শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়। এর আগে কালেক্টরেট চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ২৮ বছর ধরে বেসরকারি কলেজের অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষকরা শুধুমাত্র জনবল কাঠামোতে না থাকার কারণে এমপিও ভুক্তির বাইরে রয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জনবল কাঠামো সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। উক্ত সংশোধনীর প্রথম সভায় অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র জনবল কাঠামোর অজুহাতে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে আমাদেরকে কেন সরকারি সুযোগ-সুবিধার (এমপিও) বাইরে রাখা হয়েছে তা বোধগম্য নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় স্মারকলিপিতে।এমপিও’র দাবিতে যশোরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
এদিকে, মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা বলেন, উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত যশোরে ৩৫০ জনসহ সারাদেশে ৩১৫টি কলেজের পাঁচ হাজার ৫০০ জন শিক্ষকের বেতন ভাতার যৌক্তিক দাবিতে শিক্ষকরা আজকের কর্মসূচি পালন করছে। বছরে ১৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেই এসব শিক্ষকরা সমাজে সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারে।
মানববন্ধনে সংগঠনের যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রভাষক তরিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব প্রভাষক জসিম উদ্দীনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি হারুন-অর-রশীদ, প্রভাষক আব্দুল কুদ্দুস, শরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, রুমা পারভীন প্রমুখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।